১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, রাত ৪:৫০
শিরোনাম :
শিরোনাম :
অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ‘‘সাহিত্যে দুই মহামানব : গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু’’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন শেখ হাসিনা আস্থাবান যে কারণে

রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

চলতি মাসে (২০১৯) বর্ষীয়ান সাংবাদিক, কলাম লেখক ও ‘অমর একুশে’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বলেছেন, সন্ত্রাস দমন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার, দেশের উন্নয়নÑ এসবের কোনো কিছুই আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে সম্ভব হতো না। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান হবে। আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে তাসের ঘরের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। এখানে মৌলবাদী নেতৃত্ব এসে যাবে। আওয়ামী লীগকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেনÑ এটাও গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ শেখ হাসিনার সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও নেতৃত্বের দক্ষতা আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণেই তাকে টানা নবমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারার পুনর্জাগরণ ঘটে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তিনি বৈশ্বিক ভাবমূর্তি অর্জনে সক্ষম হন। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্বখ্যাতদের সঙ্গে উচ্চারিত একটি নাম। আগামী তিন বছরের জন্য শেখ হাসিনার কাঁধে পুনরায় আওয়ামী লীগের দায়িত্ব অর্পিত হওয়ায় আমরা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা মনে করছি। কারণ ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। এই দুটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য সৌভাগ্যময় ঘটনা। আগামী দুবছরে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আমরা শুনব অনেক কথা; বঙ্গবন্ধু ও দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক কীর্তিগাথা। এজন্য সব দিক বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দলীয় অবস্থান ও দায়িত্ব যথার্থ বলেই মনে হয়।

২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর কেবল শেখ হাসিনাকে নয়, নির্বাচিত করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদকও। আর দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। কাউন্সিলররা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য দলীয় সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, কাউন্সিল অধিবেশনেই অধিকাংশ পদে পুরনোদের রেখে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রেসিডিয়ামের সব সদস্যই বহাল আছেন। শুধু নতুন মুখ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শ্রমিক নেতা শাজাহান খান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক থেকে প্রেসিডিয়ামে স্থান পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান। একইভাবে ৮১ সদস্যের ঘোষিত ৪৩ জনের মধ্যে নতুন হিসেবে আরেকজন যুক্ত হয়েছেন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী। নতুন কমিটিতে পুরনো অনেকেই নিজ নিজ স্থান ধরে রেখেছেন। কেউ কেউ উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর তেমন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ থেকে প্রমাণিত হয়, শেখ হাসিনার ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেক বেশি আস্থা। এই আস্থা জনগণেরও।

শেখ হাসিনার ওপর নেতাকর্মী কিংবা ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থার উৎস কী? বলা যেতে পারে, দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করেছেন যে রাষ্ট্রনায়ক তার কারণে এই আস্থা। বলা যায়, নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের সাফল্য এর অন্যতম কারণ। ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছেন শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় স্পষ্ট এখন।

শেখ হাসিনা এখনো নির্ভরতার উৎস। দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবিধানিক উপায়কে অবলম্বন করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় প্রকৃত অর্থে বাস্তব হয়ে উঠেছে ২০১৮ সালের ভোটে জয় লাভ করার মধ্য দিয়ে। এজন্য গত ১১ বছরে অর্জিত সব সফল কর্মকা-ের প্রশংসা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে।

শেখ হাসিনার গৌরবান্বিত নেতৃত্বই স্মরণ করিয়ে দেয় আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে, যেমনটি বর্তমান প্রজন্ম হাল ধরেছে এই সংগঠনটির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রত্যয়ে জানিয়েছিলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়বই।’ তিনি বর্তমান বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাকর ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন। নিজের নিঃস্বার্থ, নির্লোভ মানসিকতার জন্য পৃথিবীর খ্যাতনামা শাসকদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। কারণ নিজের দেশকে নিয়ে যেমন স্বপ্ন দেখেন, তেমনি বিশ্ববাসীকে সঙ্গে নিয়ে সুখী জনজীবনের প্রত্যাশায় বিশ্বের অন্যান্য নেতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিলেমিশে কাজ করতেও চান তিনি। মূলত দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে একটানা ১১ বছর ধরে। উপরন্তু বাংলাদেশ একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব দেখতে চায়, যেখানে প্রতিটি মানুষ সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো প্রণিধানযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষা খাত এই সব কটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অগ্রগতি লাভ করেছে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সংগ্রামের ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকারই আমরা দেখতে পাই।

আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর। ওই সম্মেলন ছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে গোছানোর অভিযাত্রা। একইভাবে বর্তমান সম্মেলন অনেক বার্তা দিচ্ছে সাধারণ জনগণকে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছেন বলেই তার পক্ষে সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপকভাবে কাজ হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার হার বাড়ানো ও মান উন্নত করাসহ বিভিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। আর তার ফলেই আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৌরবান্বিত নেতৃত্বের কারণে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিটি অঙ্গীকার পূর্ণ হয়েছে গত শাসনামলেই (২০০৯-২০১৮)। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং অকার্যকর রাষ্ট্রের কলঙ্কমোচন করে বাংলাদেশকে আবার বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই তৃতীয় বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের অন্যতম এখন বাংলাদেশ। শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসনের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে সুখী দেশের তালিকায়।

আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন শেখ হাসিনার অর্জনকেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পুনরায়। অবশ্য দলের নেতৃত্বে নতুন মুখের প্রত্যাশা ছিল আরও। তবে মন্ত্রিসভার সাতজন সদস্যকে এখনো পর্যন্ত কোনো কমিটিতে রাখা হয়নি। বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রমে তারা বেশ সক্রিয় ছিলেন। এজন্য অনেকেই মনে করছেন, সরকার ও আওয়ামী লীগকে আলাদা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ক্ষমতার বাইরে তৃণমূল জনতার আশা-আকাক্সক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। কারণ কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে। তারা দলের ভেতর নিজের মর্যাদাকর আসন পেতে উৎসাহী। এজন্য দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই কাউন্সিলের প্রথম দিন রাজনীতিতে ত্যাগকে প্রাধান্য দিতে বলেছিলেন সভাপতি। আর তৃণমূল পর্যায়ে নেতা নির্বাচন ও নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ নেতাদের পাশে রেখেছেন তিনি। যেমন, ১১ সদস্যের সংসদীয় বোর্ডের ৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন বোর্ডে রয়েছেনÑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ওবায়দুল কাদের ও রশিদুল আলম। স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের ১৭ সদস্যের মধ্যে অন্যতম হলেনÑ শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আইন তার নিজের গতিতে চলবে। অপরাধী অপরাধীই। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। এটি জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।’ শেখ হাসিনা সরকারের এই অঙ্গীকার আছে বলেই তার এত জনপ্রিয়তা। জনগণের আস্থা তার ওপর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে সহিংসতামুক্ত দেশ দেখতে চাই আমরা। এদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। আর এই শুভ পরিস্থিতিই আরও বেশি আস্থা তৈরি করবে শেখ হাসিনার ওপর।

ড. মিল্টন বিশ্বাস : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর