১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১:৫৭
শিরোনাম :
শিরোনাম :
অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ‘‘সাহিত্যে দুই মহামানব : গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু’’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

কোয়াড ও টিকারাজনীতি পরিপ্রেক্ষিত : বাংলাদেশ

রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

 সুফল কুমার রায়।।

কোভিড-১৯ এর  উত্তেজনার মধ্যেই নতুন উত্তেজনা  সম্মুখে প্রসরমাণ। বেশ কিছু দিন ধরেই ‘কোয়াড’ নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গত ১০ মে চীনা রাষ্ট্রদূতঅবশেষে  প্রকাশ্যে মুখ খুললেন,’ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বেকোয়াড হচ্ছে চীন বিরোধী একটি ছোট জোট।এটি চীনবিরোধী ছোট ক্লাব।আমরা মনে করি ,এই ছোট ক্লাবেবাংলাদেশের কোনোভাবে অংশগ্রহণ করাটা ঠিক হবেনা।এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ হবে’।এমনই মন্তব্য ছিল চীনা রাষ্ট্রদূতের । চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এরূপ বিরোধী এবং বিরূপ মনোভাবের ফলাফল সারাবিশ্ব পাচ্ছে।  বাংলাদেশও যার বাইরে  নয়।কোয়াড মূলত কী আসলে সেটা পরিষ্কার হওয়া আবশ্যক; যদি সহজ কথায় বলা হয়, তাহলে বলা যায় যে চীনের একচ্ছত্র আধিপত্যকে রোধের সম্মীলিত জোট।প্রশ্নটা হচ্ছে, এ জোটে বাংলাদেশকে টানা হচ্ছে কেন ? ২০০৭ সালের মে মাসে  এ উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্রএবং তারা জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মত দেশগুলিকে দলে ভেড়ায়। জাপানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ম্যানিলাতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে এক বৈঠক করেন ‘কোয়াড্রিলেটারেল সিকিউরিটি ডায়ালগ'(কোয়াড )এর বিষয়ে।এসময়ে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রতিবাদ জানালে কোয়াড সম্পর্কে তারা জানায়, ‘এটা কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ’ । এবং সেটা সাময়িকভাবে বন্ধও ছিল। ২০১৭ সালের পর বিষয়টিনিয়ে আবার নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়।।তবে কোভিড -১৯ এর যাত্রার পর থেকে এটা কিছুটা শিথিল অবস্থায় ছিল। বেশ কিছুদিন কোয়াড নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে  মুখ খোলেনি।বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতে যখন করোনা মহামারি চরম আকার ধারন করেছে এবং বাংলাদেশে  টীকার রপ্তানি বন্ধ করেদিল   সেই সাথে বাংলাদেশ যখনই টীকার জন্য বিভিন্নদেশের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করল তখনই কোয়াড প্রসঙ্গ চলে আসলো যখন  চীন থেকেবাংলাদেশ টীকা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।এই মুহূর্তে এসে চীনের মুখ থেকে আসলো কোয়াড  প্রসঙ্গ।কারণ বাংলাদেশ যদি কোয়াডের সদস্য হয় তাহলে  চীনের অসস্তির কারণটা মূলত কোথায়? প্রথমত, বাংলাদেশে চীনা পণ্যের অবাধ বিস্তার কমেযাবে  যেটা চীন অবশ্যই চাইবে না।দ্বিতীয়ত, কোয়াড সফল হলে চীন যে ভূরাজনৈতিকভাবে প্রশান্তমহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে প্রভুত্ব স্থাপন করতেচায় সেটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।তৃতীয়ত,কোয়াড সফল হলে ,কোয়াডের পাশাপাশি এ অঞ্চলে আরেকটি উদ্যোগ রয়েছে যা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস} নামে পরিচিত ,সেটা সফল হবে।যা চীনের বি আর আই (অঞ্চল ও পথের উদ্যোগ) কে বাধা প্রদান করবে যেটা চীন কখনোই চাইবে না।চতুর্থত ,ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে ভাটা পড়তে পারে যা কিনা চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই বাণিজ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যদি কোয়াডে না যায় তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় যাবে ,প্রথমত ,বাংলাদেশ শুরু থেকেই বলে আসছে ভারত আমাদের পরীক্ষিত প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র তাই কোয়াডের সাথে না গেলে ভারতের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন পড়তে পারে।দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র থেকে টীকা আনার বিষয়ে যেসকল কূটনৈতিক আলোচনা ইতিমধ্যে হয়েছে সব গুলো ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে।তৃতীয়ত, জাপানের সাথে দীর্ঘদিনের যে সম্পর্ক সেটাতে হুমকি আসতে পারে।চতুর্থত, ভারত -বাংলাদেশ ও জাপানের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলে বিভিন্ন চুক্তি এবং বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেওয়ার  সম্ভাবনা রয়েছে। যেটা চীন কখনোই চাইবে না। চতুর্থত ,ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে ভাটা পড়তে পারেযা কিনা চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই বাণিজ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যদি কোয়াডে না যায় তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় যাবে ,প্রথমত ,বাংলাদেশ শুরু থেকেই বলে আসছে ভারত আমাদের পরীক্ষিত প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র তাই কোয়াডের সাথে না গেলেভারতের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন পড়তে পারে।দ্বিতীয়ত,যুক্তরাষ্ট্র থেকে টীকা আনার বিষয়ে যেসকল কূটনৈতিক আলোচনা ইতিমধ্যে হয়েছে সবগুলো ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে।তৃতীয়ত, জাপানের সাথে দীর্ঘদিনের যে সম্পর্ক সেটাতে হুমকি আসতে পারে।চতুর্থত, ভারত -বাংলাদেশ ও জাপানের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলে বিভিন্ন চুক্তি এবং বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেওয়ার  সম্ভাবনা রয়েছে।এমতাবস্থায় ,বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে বেশ উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে ।প্রথমত, ইতিমধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মোঃ শহীদুল হক মন্তব্যও করেছেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ ,গঠনমূলক, ভারসাম্যনীতি ও উন্ন্যনমুখী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে চলেছে’।সুতরাং স্পষ্টত যে, বাংলাদেশ কোনো ধরনের বৈরি সম্পর্কে জড়াবে না। দ্বিতীয়ত কোয়াড প্রসঙ্গটি আসছে চীনা টীকার বিষয়ে, যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত কোয়াড নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি।তারা বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে ,তার মানে এই নাযে বাংলাদেশ কোয়াডে যোগদান করেছে বা যোগদান করতে যাচ্ছে। ফলত   চীনের এধরনের প্রকাশ্য ঘোষণা যথার্থ নয়।চীন তখনই  মন্তব্য করছে  যখন বাংলাদেশ ভারত থেকে টীকা আমদানিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং চীন থেকে বিকল্পভাবে টীকা আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চীন এটাকে একটা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের বৈদেশিক বিষয়গুলো  চলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ অনুসারে।সেইদিক বিবেচনায় নিলে কোয়াড যদি কোনো সামরিক জোটের দিকে এগিয়ে যায় তাহলে কোয়াডে অংশ নানেওয়াই উত্তম হবে।যেহেতু বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।এ উন্নয়নকে ধরে রাখতে হলে কোনো ধরনের সামরিক জোটে যোগদান করা অনুচিত।চতুর্থত, বাংলাদেশ সবসময় সার্বভৌমত্বে  বিশ্বাসী সুতরাং সার্বভৌমত্বে আঘাত আসে এমন কোনো ধরনের মন্তব্যেও প্রভাবিত হওয়া যাবে না (যেটা চীন টীকা দেওয়ার মুহূর্তে এসে  শর্ত আরোপ করতে চাচ্ছে)। কোনো দেশের হুশিয়ারির তোয়াক্কা না করায় শ্রেয়।চীনের ন্যায় যেকোনো দেশই চাইবে নিজেদের স্বার্থ আগে দেখতে সুতরাং বাংলাদেশকেও নিজেদের স্বার্থ পরিপন্থী কোনো ধরনের চুক্তি বা সমঝোতায় না যাওয়ায় শ্রেয়; যেটা  চীনের রাষ্ট্রদূতের কথায় স্পষ্ট হয়েছে । বাংলাদেশের এখন দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করা ছাড়া অন্য উপায় নাই।এমতাবস্থায় বাংলাদেশের উচিত হবে সাপ লাঠি নীতিতে হাটা।তাহলেই দেশের স্বকীয়তা, উন্নয়ন ও বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে ।সর্বপরি বলা যায় যে ,প্রাচীনকাল থেকেই ভারত মহাসাগর খুবই গুরূত্বপূর্ণ অঞ্চল যার ফলে, বিভিন্ন দেশক্ষমতা বিস্তারের ব্যর্থ চেস্টাও করেছে কিন্তু লাভ হয়নি।সুতরাং আমাদের  খেয়াল রাখা আবশ্যক যে, বাংলাদেশ যেন কোনোভাবেই টীকার সাথে  রাজনৈতিক বলীর অংশ না হয়। (লেখকঃ সাবেক শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।ই-মেইল-roysufal.95@gmail.com)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর