১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, সকাল ৮:৫৪
শিরোনাম :
শিরোনাম :
অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ‘‘সাহিত্যে দুই মহামানব : গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু’’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

ছাত্র-ছাত্রীদের উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ০৯ নভেম্বর। ছবি: পিআইডি

আন্দোলনের নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, উসকানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়াকে কেউ মেনে নিতে পারে না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে উচ্চ শিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি অর্থে পরিচালিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উসকানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করে আবার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আর তা যদি করতে হয় তাহলে নিজেদের অর্থ নিজেদের জোগান দিতে হবে।’তিনি আরও বলেন,‘নিজেদের বেতন নিজেরা দেবে এবং নিজেদের খরচ নিজেরাই চালাবে, সরকার সব টাকা বন্ধ করে দেবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সরকার কেন টাকা খরচ করবে। সেটাও তাদের চিন্তা করতে হবে, তারা কোনটা করবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৩ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন আছে এ কথা সত্যি। কিন্তু টাকাটা তো সরকার দিচ্ছে। সরকারের দেওয়া টাকা ইউজিসিতে (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) যায়, সেখান থেকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয় এবং সমস্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, যা কিছু তারা পাচ্ছেন তা দেওয়া হয়।

বিশ্বের আর কোথাও বাংলাদেশের মতো এত স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মাসে শিক্ষা ব্যয় দেড় শ’টাকার বেশি হয় না। যদি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান তবে, দেখবেন কত লাখ টাকা লাগে প্রতি সেমিস্টারে। প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয় এক একজন শিক্ষার্থীর পেছনে । প্রকৌশল বা কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি টাকা খরচ হচ্ছে । কাজেই সেখানে শৃঙ্খলা থাকতে হবে।

আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ব্যয়ের জোগান সরকারকেই দিতে হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,‘ সেখানে ডিসিপ্লিন থাকবে,শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা পাবে এবং নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে সেটাই আমরা চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কী আমরা তা বুঝি না। যারা পড়াশোনা নষ্ট করে সেখানে ধর্মঘট করে দিনের পর দিন কর্মঘণ্টা নষ্ট করবেন। ছেলে-মেয়েদের পড়া-শোনা ব্যাহত করবেন ,তারাই সব বুঝবেন । আর আমরা বুঝব না, এটাতো হয় না।’

সরকার প্রধান বলেন,‘অর্থ সরকার দেবে। সব রকম উন্নয়ন প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করবে। আর সেখানে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না, এটাও হতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথায় বলে স্বাধীনতা ভালো কিন্তু তাহা বালকের জন্য নয়। এটাও মাথায় রাখতে হবে। ’
দাবি মেনে নেওয়ার পরেও ক্ষেত্র বিশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া এবং শিক্ষার সময় যেন নষ্ট না হয়। উপযুক্ত সময়ে তাঁরা ভালো রেজাল্ট করবে এবং তাঁরা জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে, সেটাই আমরা চাই।’ তিনি বলেন,‘ দেশের আইনে আছে কেউ যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে এবং সেটা যদি প্রমাণিত না হয় অভিযোগকারীর ওই আইনে বিচার হয়,সাজা হয়। কাজেই যারা কথা বলছেন তারা আইনগুলো ভালোভাবে দেখে নেবেন।’ তিনি বলেন,‘আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম এবং পড়াশোনা করেই এত দূর এসেছি। এটাও ভুলে গেলে চলবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শ্রম এবং কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এবং আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর তুয়োমো পটিয়াইনেন, আন্তর্জাতিক টেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন এশিয়া প্যাসিফিক’র (আইটিইউসি-এপি) সাধারণ সম্পাদক শোভা ইওশিদা এবং দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক লক্ষন বাহাদুর বাসনেত ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন। দলের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর