১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, রাত ৩:১০
শিরোনাম :
শিরোনাম :
অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ‘‘সাহিত্যে দুই মহামানব : গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু’’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

পানি নিয়ে যত কথা

রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন

মোঃ আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব।।

অ) যেখানে পানি, সেখানেই জীবন। আর পানিও নেই, জীবনও নেই। যে যাই বলুক না কেন, এখনও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি অন্য গ্রহ বা উপগ্রহে যে পানি আছে। এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের পৃথিবীই একমাত্র জলজগ্রহ (Aquatic planet)। বিজ্ঞানের আলোকে পানি যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে লক্ষ্ করা যায় যে, হাইড্রোজেনের দুটি পরমাণু ও অক্সিজেনের একটি পরমাণু দ্বারা গঠিত, এটি সাংকেতিক চিহ্ন H20 বলে অভিহিত, যা প্রথমে তুলে ধরেছেন ইংরেজ রসায়নবিদ উইলিয়াম নিকোলসান ১৮০০ খৃস্টাব্দে। এদিকে Chambers 21st Century Dictionary তে পানি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট সংজ্ঞা উল্লেখ আছে, তা হলো ÒWater is a colorless, odorless, tasteless liquid that freezes to form ice at 00C and boils to form steam at 1000C at normal atmospheric pressure” পূর্বে বলেছি, আমরা আমাদের আদরের অবনীকে প্রকারান্তরে জলীয় গ্রহ (Aquatic planet) বলে অভিহিত করি। উল্লেখ্য যে, ভূপৃষ্ঠের এক ভাগ মাটি এবং দুভাগ পানি। আর মোট পানির পরিমাণ আনুমানিক ১,৩৩৮,০০০,০০০ কিউবিক কিলোমিটার। আর এই পানির সাতানব্বই ভাগই লবণাক্ত, শুধু শতকরা তিন ভাগ স্বাদু (Sweet)। অথচ এই তিন ভাগ স্বাদু পানির খুব সামান্য অংশই আমরা ব্যবহার করে থাকি। প্রায় স্বাদু পানি ভূগর্ভস্থ এ্যাকুইফারে, নদী-নালা, ঝরনা, মেঘ, কুয়াশা, বরফ, হিমাবহ, ইত্যাদিতে বিদ্যমান। এদিকে মোট স্বাদু পানির মাত্র তিন ভাগ আছে কেবল এ্যাকুইফারে এবং এই সঞ্চিত পানিকে ভূগর্ভস্থ পানি  (Ground Water) বলে থাকি। মজার ব্যাপার হলো পাখিদের শরীরে জ্বলীয় পদার্থের মিথষ্ক্রিয়ার ন্যায় ভূগর্ভস্থ পানি ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে (Recharging) পরিপূরণ হয়ে থাকে। কেননা পাখিরা কখনও প্রস্রাব করে না, ওটা রিসাইকেলিং হয়ে থাকে। সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির পরিপূরণ তথা পুনর্ভরণ হয় বৃষ্টির পানির মাধ্যমে। মেঘ হতে জলধারা মাটিকে সিক্ত করত নি¤œমুখী হয়ে ধীরে ধীরে পানির স্তরে (Water Strata) প্রবেশ করে। আর প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে পানিসিক্ত মাটির সবজি পরিসরের (Vegetation coverage) আওতা থেকে গাছ-পালা, পোকা-মাকড়, জীবাণু, ইত্যাদি প্রয়োজন অনুসারে জলীয় পদার্থ নিয়ে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, যতদূর জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ছাড়াও ৬৫১টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে যে পানি প্রতিনিয়ত উত্তোলন করে থাকে, তা রিচার্জ হয় ফরিদপুর বেল্ট (পদ্মা ও মেঘনা সহ অন্যান্য এলাকা) ও ঢাকা রাজধানীর চারিদিকের নদী নালা থেকে। প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দেখা যায় যে, বর্তমানে দেশের ৩১২টি নদীর মাধ্যমে জলপথ মাত্র ছয় হাজার কিলোমিটার, যা অতীতে ছিল চব্বিশ হাজার কিলোমিটার। জলপথের এই নি¤œমুখী ট্রেন্ড আমাদের দেশের জন্য হতাশাব্যঞ্জক এবং আগামীতে বিপর্যয়ের হাতছানী। আর নদীপথের এই প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে লবণাক্ততাসহ নানা জটিলতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

আ) বাংলাদেশে বিদ্যমান পানির শিল্প হিসেবে সকল ওয়াসা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, ইত্যাদির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও আধুনিক প্রযুক্তির আদলে অবস্থানে আছে ঢাকা ওয়াসা। এর জন্ম ১৯৬৩ সালের ৭ই নভেম্বর। [ As this was conferred by section-3 under East Pakistan Ordinance no XIX of 1963, dated 7th Nov 1963] বর্তমানে ঢাকা ওয়াসা ১৯৯৬ সালের ৬নং আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। উক্ত আইনের বলে ৪ জন সদস্য থেকে ১৩ জন সদস্য সম্বলিত বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। এখানে চেয়ারম্যান হলো কেবল ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে ঘিরে। আর প্রধান নির্বাহী হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। উল্লেখ্য যে, বিগত অর্ধশত বছরের পরিসরের একটি কিশলয় থেকে ঢাকা ওয়াসা বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়ে ত্রি ধারার আবর্তে পানি সরবরাহ ছাড়াও, ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন দিবা-রাত্র করে চলেছে।

        ই) মহান সৃষ্টিকর্তা জীবজগতকে ঘিরে সকল জীব ও বস্তুর মূল উৎস পানি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে বলেন, ‘আমি প্রাণযুক্ত সকল কিছু পানি হতে সৃষ্টি করেছি’। ইসলাম ধর্মে পানির উপর এত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যে আল-কোরআনে ৪৬ বার পানির কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে এবং তৃষ্ণার্তকে পানি খাওয়ানো সাদগায়ে জারিয়া বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

        i) ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হযরত খিজির (আঃ) কর্তৃক আবে হায়াত নামক স্বর্গীয় পানি পানপূর্বক অমরত্বের ঘটনা সকল মুসলমানরা অবহিত আছেন, যিনি আবার সনাতন ধর্মে জলদেবতা গঙ্গা নামে পরিগণিত।

ii) আল্লাহ পাকের প্রতিটি আদেশ উপদেশ ও নিষেধ বাস্তবধর্মী, অথচ রহস্যময় এবং এর সুদূর প্রসারী কার্যকারিতা বিদ্যমান। হয়তো আবে জম জম কূপ ও ইসমাইল (আঃ) এর ঘটনা সম্পর্কে সবাই অবহিত আছেন। এক্ষেত্রে যখন শিশু ইসমাইল (আঃ) পিপাসায় কাতর হয়ে কাঁদতে থাকেন, তখন মা হাজেরা (রাঃ) অস্থির ও পাগলিনী হয়ে পুত্র ইসমাইল (আঃ) কে একটি গাছের নিচে রেখে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে পানির খোঁজে দৌড়াদৌড়ি শুরু করতে থাকলে [সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দূরত্ব ৪৫০ মিটার] সাত বারের মাথায় তিনি লক্ষ্য করলেন যে তাঁরই শিশু পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের দিক থেকে অলৌকিকভাবে সজোরে পানি বয়ে যাচ্ছে। তখন পুত্র সহ তিনি উক্ত পানি খেলেন এবং নূড়ি ও পাথর দিয়ে ঘিরে দিতে সচেষ্ট হলেন। কিন্তু প্রবাহ বেড়ে যেতে থাকলে বিবি হাজেরা বললেন, আব, জম জম অর্থাৎ হে পানি থামো থামো। এখানে উল্লেখ্য যে, আরবীতে ‘আব’ মানে পানি। আর জম জমের অর্থ থামো থামো। এই থেকে ঝরণামূলক এই কুপের নাম আবে জমজম বলে আদি থেকে পরিচিত। তবে এ নামের ব্যাপারে আরও কিছু কথা প্রচলিত আছে। যাহোক, যমযমের পানি অতি পবিত্র ও বরকতময়। এতে প্রচুর খাদ্য প্রাণ, জীবনী শক্তি ও রোগ নিরাময় শক্তি রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোন পানিতে নেই। এই কুপের খ্যাতি সেই প্রাচীন কালেও ছিল। এ পানির অসাধারণ গুণাগুণ দেখে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে সবাই মানত করে অর্থ কড়ি, সোনা রূপাসহ মূল্যবান সামগ্রী ফেললে কিছুদিনের মধ্যে এটি ভরাট হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এর মধ্যে বহু বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায়। চতুর্দশ শত খৃষ্টাব্দে স্বপ্ন যোগে আদিষ্ট হয়ে নবী করীম (সঃ) এর দাদাজান আব্দুল মুত্তালিব পুনরায় খনন করেন এবং তৎপর আবার কুপের পানি পুনরায় ব্যবহার শুরু হয়। এই কুপটি মক্কা মুর্কারমায় অবস্থিত কাবা শরীফের দক্ষিণ পূর্বের কোনে হাজরে আসাওয়াদ নামক কাল পাথরের অদূরে অবস্থিত। এর গভীরতা ১৪০ ফুট। এর উৎস তিন জায়গা থেকে, প্রথম দুটি হলো সাফা ও মারওয়া পাহাড় এবং আর অন্যটি হলো কাবা গৃহের তলদেশ। এই পানি কখনও কমে না, বরং মাঝে মধ্যে বৃদ্ধি পায়। এ প্রেক্ষিতে জানা যায় যে ৯০৯ খৃষ্টাব্দে এর পানি উপচিয়ে কাবা শরীফের চত্বরে বন্যার সৃষ্টি করেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনটি উৎসের কথা বলা হলেও এর আদি উৎস অন্য কোথাও হতে পারে। কেননা এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত হয় না বিধায় রিচার্জ হওয়ার তেমন সুযোগ নেই। হয়তো হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত উচু থেকে পানি তুলনামূলক নীচ স্থান হিসেবে এই জম জম কুপে জমা হয় বলে অনেকে মত পোষণ করেন। এ কূপে এত পরিমাণ পানি জমা হয়ে থাকে যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও একই থাকে। আর সারাদিন উত্তোলনের পর ১১ মিনিটে আবার পূর্ণ হয়ে যায়। আর এতে ফ্লুরাইডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এই পানিতে কখনও জীবাণু বা শৈবাল জন্মে না এবং স্বাদও অপরিবর্তিত থাকে। তাছাড়া এই পানিতে অন্যান্য সাধারণ পানির চেয়ে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনোসিয়াম সল্ট বেশি থাকায় এর ফুড ভ্যালু বেশি।

 আর একটি কথা, বহু দূর থেকে যে পথে এই পানি এসে থাকে, সেই পথে হয়তো পুরা জায়গা জুরে কাঁদাবিহীন বালির আস্তরণ বিদ্যমান। সেহেতু এর প্রবাহ তেমন বাধাগ্রস্ত হয় না। এক্ষেত্রে প্রকৃতিগত অজানা অলৌকিক নিয়মে মরুদ্যান সৃষ্টির আবর্তে হয়তো Sharp Water Flow Curve এর আওতায় প্রসারিত লেয়ার ধরে পানি প্রবাহ চলমান আছে। যদিও মাটির নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ ধীরে ধীরে হয়ে থাকে। তথাপিও একবার শুরু হলে সদা বহমান থাকে। কখনও কম হয় না বরং অনেক ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইয়েমেন, ওমান, ইরাক, জর্ডান, ইত্যাদি দূরবর্তী অঞ্চলসহ আরব সাগর ও লোহিত সাগরের পানির প্রবাহ খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। কেননা এটি প্রকৃতিগত অমোঘ পদ্ধতিতে ফিল্ট্রেশন, সেডিমেস্টেশন ও অক্সিডেশনের মাধ্যমে হতে পারে। আর দূরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রবাহ আসে বিধায় পথে স্যালাইনের ন্যায় ফুড ভ্যালু মিশিত হয়ে যায়। যাহোক, একটি লোক সাধারণত ৩০ দিন শুধু পানি খেয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু জম জমের পানিতে স্যালাইন ওয়াটারের ন্যায় ফুড ভ্যালু অনেক বেশি বিধায় বহু দিন শুধু এই পানি খেয়ে বাঁচা সম্ভব।

        ঈ) এই বিশ্ব জাহানে এমন কোন বস্তু নেই, যার কিছু না কিছু ক্রটি না থাকে। কিন্তু পানির ক্ষেত্রে কেবল ব্যতিক্রম। পানি কখনও বাসি (Stale)  হয় না। তাছাড়া শুধু পানের জন্য নয়; বৈশিষ্ট্যগত কারণে এর বহুল ও আশ্চার্যজনক যে ব্যবহার দিনে দিনে গবেষণার মাধ্যমে উন্মোচিত হচ্ছে, তার কিছু নিম্নেœ তুলে ধরা হলোঃ

i)  মূলত কিডনিসহ মানুষের সব অঙ্গই অপরিহার্য। তবে আয়ু নির্ধারণের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কিডনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এক্ষেত্রে কিডনিকে সচল রাখতে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। প্রত্যেক মানুষ গড়ে দুই লিটার পানি পান করে থাকে। উল্লেখ্য যে, দেহের প্রয়োজনীয় পানি পান না করার বিপদ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর কিডনিতে পাথর হওয়া সহ জটিলতার কারণে বহুলোক মারা যায়। এ প্রেক্ষিতে শুধু কাম্য পরিমাণ পানি পান না করার জন্য প্রতি বছরে কিডনিজনিত রোগীর সংখ্যা ৫% থেকে ১০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত প্রতিদিন বিভিন্ন খাবারের সাথে যে লবণ গ্রহণ করি, সেই লবণের কৃষ্টাল বা দানা বিশুদ্ধ পানি পানে ধুয়ে মুছে মুত্রের সাথে বেড় হয়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না পান করলে ঐ লবণের কৃষ্টাল ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে টুকরো টুকরো পাথরে পরিণত হয়। এদিকে বাংলাদেশের মানুষের প্রায় ষাটটি রোগ কেবল দূষিত পানির কারণে হয়ে থাকে।

ii)  হয়তো অবহিত আছেন যে, ঢাকা ওয়াসায় ৪টি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে। আর এতে হেভি মেটাল থাকায় পানি শোধন করতে তীব্র ও অধিক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যে ভাবেই বলুন না কেন, এর কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এদিকে প্রায় দেশে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট করতে কমবেশি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এর নেতিবাচক বিষয়টি চিন্তা করেই ইদানিং জাপানিরা পানি শোধনের ক্ষেত্রে চিঁড়ির খোসা দিয়ে তৈরি ক্রাইটেজন ব্যবহার করে থাকে। আর অনেকে মনে করেন যে পানি সিদ্ধ করলে স্বাস্থ্য সম্মত হয়, কিন্তু তা নয়। কেননা পানি সিদ্ধ করার কারণে হিতকর ব্যাক্টেরিয়াসহ খনিজ পদার্থ নষ্ট হয়ে যায়।

iii)  আর একটি আশ্চার্যজনক বিষয় হলো কোন পানিতে ফলি প্রজাতির মাছ থাকলে, তা পান যোগ্য বলে মনে করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ আমেরিকার পানিতে রাইস ফিস নামক এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যা নাকি পানির দূষণের মাত্রা নির্দশকের ব্যাপারে সহায়তা করে থাকে।

iv)  সুইডেনের বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরনের চার্জার উদ্ভাবন করেছেন। এটি পানির সাহায্য চার্জ করা যায়। আর পানিযুক্ত এই চার্জারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন চার্জ করার সুযোগ বিদ্যমান। এক্ষেত্রে মাত্র এক চামচ পানিতে ঐ চার্জার যে শক্তি উৎপন্ন করে, তা দিয়ে একটি মোবাইলে দশ ঘণ্টা ধরে অনায়াসে কথা বলা সম্ভব।

v)  বর্তমানে বোতলজাত পানি ব্যবহারের কালচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এর ব্যবহার এখনকার নয়। যিশু খৃস্টের জন্মের অনেক আগে থেকেই এটি ব্যবহারের রেওয়াজ ছিল এবং সে সময়ে এক প্রকার মাটির জগে করে বিক্রির প্রচলন ছিল। আর এটির বেশি প্রচলন ছিল রোমানদের মধ্যে এবং বলতে গেলে তাঁরাই প্রথম বোতলজাত পানির প্রচলন শুরু করেন। এদিকে খৃস্টপূর্ব ৫৮-৫০ অব্দে বেলজিয়ামের গ্যালিক যুদ্ধে কারথাজিনিয়ান সেনাপতি মিঃ হান্নিবাল মিনারেল ওয়াটার ব্যবহার করেন। তাছাড়া যিশু খৃস্টের জন্মের প্রায় একশো বছর পূর্বে মুসলিম সভ্যতার পিঠস্থান সিরিয়াতে কাঁচের তৈরি বোতলে পানি বিক্রির প্রচলন ছিল। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে প্রচলিত বোতলজাত পানির সূতিকাগার ফ্রান্সকে বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ ফ্রান্সে বোতলজাত পানি শিল্প হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি পায় এবং এটি সামনে রেখে ১৮৫৫ সালে ফ্রান্সে আইনগত দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠা পায়। ইতোমধ্যে অনেক চরাই উৎরাই পার হয়ে সারা বিশ্বে এটি সমাদৃত। বাংলাদেশেও বেসরকারি বোতলজাত পানির সাথে সাথে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বোৎকৃষ্ট ব্রান্ডের ‘শান্তি’ পানি ঢাকা ওয়াসা ২০০৭ সাল থেকে মার্কেটিং শুরু করেছে।

vi)  চাঁদে পৃথিবীর মতো সাগর বা নদী নেই। এর পরও সেখানে পানি আছে, তবে অন্য রূপে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, প্রায় চারশত কোটি বছর আগে মহাজাগতিক সংঘর্ষের কারণে পৃথিবী থেকে নাকি আলাদা হয়ে চাঁদ জন্ম লাভ করে। সে সময়ে একই আর্দ্র ফসফেট শিলার জন্ম। তাই ধারণা করা হয় পৃথিবী এবং চাঁদের পানির উৎস  একই। কেননা ঐ ধরনের ফসফেট পৃথিবী এবং চাঁদ উভয় স্থানে বিদ্যমান।

vii)  ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান অনুষদের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে এই মর্মে উপনীত হয়েছেন যে পানি পান করলে শতকরা চৌদ্দ ভাগ মস্তিস্ক বেশি তীক্ষ্ম হয়। তবে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির বেলায় এই প্রভাবটা বেশি। কেননা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান করলে ভ্যাসপ্রেলিন নামক এক ধরনের হরমন নিঃসরণ হয়ে মনোযোগ বাড়িয়ে তুলে। এদিকে খাদ্যের ছয়টি উপাদানের মধ্যে পানি একটি। এর কোন ক্যালরিমূল্য না থাকলেও শরীর সুস্থ রাখতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীবনধারণের জন্য যে সব রাসায়নিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া করে, তার সবটাই পানির মাধ্যমেই হয়ে থাকে। কেননা মানবদেহের ৩ ভাগের প্রায় ২ ভাগ পানি। এই সূত্র ধরে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে রক্ত প্রবাহের মধ্যে প্রায় ৩ কেজি পানি সারাক্ষণ প্রবাহিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেহকোষে পুষ্টি উপাদান রেখে শরীর বৃত্তিয় বিপাকের ফলে সৃষ্ট অবশিষ্ট বর্জ্য ও বিষাক্ত দ্রব্য পানির সাহায্য প্রস্রাব, মল, ঘাম, ইত্যাদি দিয়ে বের হয়ে থাকে।

viii)  আমাদের দেশে নব্বই দশক থেকে মেট্রিক পদ্ধতি চালু হয়েছে। আর এ মেট্রিক পদ্ধতির সাতটি ইউনিটের মধ্যে একটি হলো কিলোগ্রাম। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে কিলোগ্রাম কিভাবে করা হলো? এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য যে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ মাত্রায় এক সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, এক সেন্টিমিটার প্রস্থ ও এক সেন্টিমিটার উচ্চতায় যে জায়গা বা পরিসর সৃষ্টি হয়, সে জায়গায় পানি রাখলে হয় এক গ্রাম। আর এক হাজার গ্রাম হলো এক কিলোগ্রাম।

ix) পানি ও আগুন বিপরীত ধর্মীয় হলেও ইদানিং যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছেন যে পানি থেকে আগুন তৈরি করা সম্ভব। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা হয় যে বহুদিন গবেষণা করার পর তাঁরা বহন যোগ্য একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। এর দ্বারা পানিতে অবস্থিত হাইড্রোজন ও অক্সিজেনের অণু পৃথককরণ পূর্বক গ্যাসে রূপান্তর করে এবং তৎপর গ্যাসের সাহায্যে উৎপন্ন করে আগুন। আর এই আগুনের শিখা সাধারণ নয়, যা দিয়ে লৌহ খণ্ড পর্যন্ত  গলানো সম্ভব।

x)  এ বিশ্বে কোন কিছু কঠিন বস্তুতে রূপান্তরিত হলে আয়তনে কমে যায়। কিন্তু পানি সেই অনন্য সাধারণ বস্তু, যা জমে বরফ হলেও আয়তনে বেড়ে যায়। সেই সূত্র ধরে শীতকালে সমুদ্রের পানি জমে কঠিন তথা বরফ হয়ে উপরে ভেসে উঠে। এখানে সৃষ্টিকর্তা অপার মহিমা যে পানি বরফ হয়ে যদি ভেসে না উঠতো, তাহলে সেখানকার জলজ প্রাণি বেঁচে থাকতো কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

xi) ধরুন, আপনার টেবিলের উপর দুটি গ্লাস ভরা পানি আছে। একটি গরম ও অন্যটি ঠাণ্ডা পানি। হয়তো তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের কারণে ফ্রিজে রেখে দুটা গ্লাস পানি এক সাথেই বরফে পরিণত করতে চান। হয়তো ভাবছেন ফ্রিজে রাখলে ঠাণ্ডা গ্লাসের পানি গরম গ্লাসের পানির তুলনায় দ্রুত ঠাণ্ডা হবে। কিন্তু তা নয়? কেননা গরম পানি দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ার পিছনে লুকিয়ে আছে পানির অভ্যন্তরীণ গঠন। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, পানির প্রতিটি অণু উচ্চ চার্জযুক্ত বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বন্ধনী দিয়ে যুক্ত, যা হাইড্রোজন বন্ধনী নামে অভিহিত। এগুলো পানির পৃষ্ঠভাগে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে এবং একই সাথে ঠাণ্ডা পানির তুলনায় কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়। সেহেতু গরম পানি ফিজ্রে রাখলে দ্রুত শক্তি ছেড়ে দিয়ে কম সময়ের মধ্যে শীতল হতে শুরু করে। এ পদ্ধতিটি এমপেমবা প্রভাব নামে অভিহিত। এ রহস্যজনক বিষয়টি দাবি করেছেন সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলিজিক্যাল ইউনির্ভাসিটির একদল গবেষক। আর এই নামকরণ করা হয়েছে তানজানিয়ার এক শিক্ষার্থী ইরাস্তো এমপেমবার নামে। কারণ তিনিই প্রথম এ বিষয়টি ১৯৬৯ সালে তাঁর থিসিসে উল্লেখ করেছিলেন।

xii) বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে দিনে দিনে স্বাদ পানির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে, অনেকে বলে থাকেন যে স্বাদ পানির সংকটের কারণেই নাকি আগামীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হবে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এই মর্মে আশারবাণী শুনিয়েছেন যে, বড় বড় মহাসমুদ্র গড়িয়ে নাকি প্রচুর স্বাদ পানির প্রবাহ বিদ্যমান। তাতে হয়তো সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

xiii) পানি ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, প্রত্যহ একজন বয়স্ক মানুষের জন্য ১২০ থেকে ১২৫ লিটার পানি আবশ্যক। অথচ এ বিশ্বে পানি অপব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, আর প্রথমে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

xiv) পানির নিজস্ব কোন শক্তি নেই। কারণ এতে কোন ক্যালোরি বা চর্বি নেই। তথাপিও স্রষ্টার দেয়া এই নেয়ামত পানি শরীরের নানা কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া হজম ক্ষমতা বাড়ায়; কেননা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা, কোষ্ঠ-কাঠিন্য ও প্রস্রাবের প্রদাহ দূর করে এবং শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এদিকে ঋতু, বয়স, ওজন ও লিঙ্গভেদে একেক জন একেক পরিমাণ পান করে। সাধারণত নারীর চেয়ে পুরুষরা বেশি পরিমাণ পানি পান করে। প্রাপ্ত বয়স্ক নারী যেখানে ৮-১০ গ্লাস বা দুই থেকে তিন লিটার, সেখানে একজন পুরুষ প্রায় ১২ গ্লাস পানি পান করে। আর পানি খাওয়ার কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। উল্লেখ্য যে, রক্তে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। সেহেতু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা পানি পান করা উচিত। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীরের চর্বি জমাট বাধার সম্ভাবনা থাকে। এতদ্ব্যতীত প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করার দরকার নেই। তাছাড়া খাওয়ার ন্যূনতম ১০ মিনিট পরে পানি পান করা বাঞ্চনীয়। কেননা তা না হলে হজমে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে যদি কথা বলি, তাতে প্রতীয়মান হয় যে জীবন্ত সব কিছু পানির উপর ভর করে জন্মে। অবশ্য, এক্ষেত্রে একটু ভেবে দেখুন, পানি পবিত্র কি অপবিত্র, সেটা বড় কথা নয়। কেননা অপবিত্র পানির আবর্তে আমরা প্রায় সাড়ে সাতশত কোটি মানুষ আজ বহাল তবিয়তে দুনিয়ায় এসে রক্ত-মাংস শরীর নিয়ে সবকিছুর উপর লাঠি ঘুরাচ্ছি। যাহোক, যে কোন সৃষ্টি, প্রকৃতির অমোঘ সত্যের আড়ালে পানির মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে থাকে। এদিকে স্র্রষ্টার সৃষ্টির বিস্ময় হলো ডাবের পানি, যা পেটের পীড়ায় মহৌষধ। আর ডাবের পানির বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে আজ সেলাইন পানিতে পর্যবসিত হয়েছে। তাছাড়া খেজুর ও তালগাছের মাথিতে সুমিষ্ট পানি উৎপাদন হয়ে থাকে, যা সাহিত্যেও বেশ জায়গা করে নিয়েছে। এতদ্ব্যতীত আফ্রিকার মাদাগাস্কারে এক ধরনের রেইনট্রি বা বৃষ্টিগাছ আছে, যার শাখা-প্রশাখা হতে অনবরত বৃষ্টির মতো পানি ঝরছে। সেহেতু আবহাওয়া গরম থাকলেও বৃষ্টিগাছের তলায় সুশীতল অবস্থা বিদ্যমান থাকে। এদিকে আখ গাছে ভরপুর থাকে অতিশয় মিষ্টি পানি, যা থেকে শর্করা জাতীয় খাদ্য পাওয়া যায়। আর এটা সর্বজনবিদিত যে, জীব-জানোয়ারের দুধও সুমিষ্ট পানীয়, যা পানে জীবদেহে শক্তি বৃদ্ধি হয়। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, মহাকাশে বিচরণের প্রাক্কালে সঙ্গতকারণেই নভোচারীরা পাখির ন্যায় নিজের মূত্রকে রিসাইকেলিংপূর্বক শোধন করে সেই পানি পান করে থাকে। এদিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যদি লক্ষ্য করি, তাহলে প্রতিভাত হয় যে, আখেরাতের হাউজে কাউসারের কথা মুসলিম জাহানে একটি কাঙ্ক্ষিত ও সুপরিচিত নাম, যার পানি হাশরের সময় ভাগ্যবানেরা পান করবেন। উল্লেখ্য যে, হাউজে কাউসারের পানি একবার পান করলে কভু আর পিপাসা হবে না। তাছাড়া বেহেশতের বালাখানার নিচ দিয়ে পানির নহর, দুধের নহর ও মধুর নহর প্রবাহিত থাকবে। একই সাথে বেহেশতে আর এক ধরনের পানি বিদ্যমান, তাকে বলে শরাবান তাহুরা। আরও উল্লেখ্য যে, বেহেশতের সম্মুখে আছে নজরে হায়াত, যাতে জাহান্নামিরা শাস্তি ভোগপূর্বক গোসল করে বেহেশতিরূপ ধারণ করে চির জীবনপ্রাপ্ত হয়ে বেহেশতে প্রবেশ করবে। এদিকে কথাটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও, এর মর্মবাণী খুবই গভীর ও সূক্ষ্ণ। এটি হলো চোখের পানি ও নাকের পানি, যা দুঃখ বা আঘাত পেলে বের হয়। সেহেতু আল্লাহর ভয়ে যারা কাঁদেন; তাঁদের চোখের পানি ও নাকের পানি একত্র হয়ে জাহান্নামের আগুন নিভিয়ে দিবে বলে প্রকারান্তরে হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে।

পরিশেষে এই বলে ইতি টানছি যে পানির গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য স্বল্প পরিসরে বলে শেষ করা যাবে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র মানবজাতিকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, বাতাসের পরে সেই অমূল্য জীবনদায়িনী অপরিহার্য বস্তু কি? তখন এই বিশ্বের প্রায় সাড়ে সাতশত কোটি লোক সমস্বরে বলে উঠবে পানি এবং তারপরেও পানি, যা আমদের জীবন।

সহায়ক সূত্রাদি :

০১) মোঃ সিরাজ উদ্দিন, ডিএমডি (আরপিএন্ডডি), ঢাকা ওয়াসা।

০২) শেখ হাসান বখশ, কারিগর উপদেষ্টা, এফসিবিসি, ঢাকা।

০৩) প্রবন্ধ মালঞ্চ- মোঃ আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব।

০৪) মোঃ রাইফুল হক পিএসসি, উইং কমান্ডার, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

০৫) মোঃ সাইদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ঢাকা ওয়াসা।

০৬) মওলানা এনায়েত উল্লাহ, পেশ ইমাম ও খতিব, তেজতুরী বাজার জামে মসজিদ।

০৭) দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ- ২৮/০৮/২০১৩

০৮) দৈনিক কালেকণ্ঠ- ১৭/০১/২০১২, ১২/০৯/১৩, ২২/৩/১৩, ১৯/০৭/১৩ এবং ১৭/১১/২০১৩

০৯) দৈনিক জনকণ্ঠ- ০/১১/২০০৭

১০) দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন- ০১/০৬/২০১৩

১১) ঢাকা ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০০৯-১০

১২) দৈনিক সমকাল- ০২/০৬/২০১৩

১৩) দৈনিক ইত্তেফাক- ৩০/১০/২০১৩

১৪) মনোজগত- সেপ্টেম্বর, ২০১৩

১৫) সাপ্তাহিক উষা- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

১৬) দৈনিক যুগান্তর- ২৬/১২/২০১৪

১৭) ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

(মোঃ আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব : মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট, Email: abdulbaki85@yahoo.com)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর