১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭:০৯
শিরোনাম :
শিরোনাম :
অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ‘‘সাহিত্যে দুই মহামানব : গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু’’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের কেন কাফনের কাপড় বেছে নিতে হলো?

রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

সুইটি রাণী বণিক

শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের  কেন কাফনের কাপড় বেছে নিতে হলো প্রশ্নটা এখন দেশ জননীর কাছে।যেখান থেকে, দেশ ও দশ আইনি সুবিধা পাবে, সেখানে অনিয়ম, অসহনীয় পরিবেশ পরিস্থিতি; ফলস্বরূপ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ভুক্তভোগী! হ্যাঁ বার কাউন্সিলকে ই বলছি। যার ভেতর কি হয় কেউ জানে না! কেন এত অনিয়ম, কেন আইনের ছাত্র-ছাত্রী রা এত ভুক্তভোগী?  প্রশ্নটা আর বারের মধ্যে নেই!  প্রশ্নটা  দেশ জজনীর কাছে?
বার কাউন্সিল গত ২০১৭ সালের আপীল বিভাগের রায় ”প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়্যারে একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষা প্রসেস সম্পন্ন” বাস্তবায়ন করতে পারেন নি। ২০১৭ সালে একটি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও এরপর ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ সালে ৩টি এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন না করে বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ বলছেন, আইনজীবী অনেক হয়েছে, প্রতিবছর হাজার হাজার আইনজীবীকে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে এবং সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নিতে চেয়েছেন।
এখন সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবি হওয়া উচিত-
দফা১:সকল_এমসিকিউ_পরীক্ষায়_উত্তীর্ণ_শিক্ষানবিশ_আইনজীবীদের_গেজেট_প্রকাশ_করে_সনদ_দিতে_হবে।
কারণ বাংলাদেশে বর্তমান COVID-19 মহামারী করোনা পরিস্থিতির জন্য লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত এবং লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা সময় সাপেক্ষ্য বিষয়, সেহেতু লিখিত ও ভাইভা উভয়ই বাতিল করে প্রিলিমিনারি উর্ত্তীর্ণদের সনদ প্রদান করে একটি পরীক্ষার এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন করতে হবে। এতে ২০১৮ সালের এনরোলমেন্ট পরীক্ষাও সম্পন্ন হবে।

রেফারেন্স : ভারতে একটিমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন করা হয়।

দফা২: এমসিকিউ_অকৃতকার্যদের_এ_বছরেই_শুধুমাত্র_ভাইভা_পরীক্ষার_মাধ্যমে_আরেকটি_এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন করতে_হবে। এতে ২০১৯ সালের এনরোলমেন্ট পরীক্ষাও সম্পন্ন হবে। এভাবে শুধুমাত্র ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে আরেকটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। এতে ২০২০ সালের এনরোলমেন্ট পরীক্ষাও সম্পন্ন হবে।

রেফারেন্স : ভারতের কেরালায় শুধুমাত্র অনলাইনে ভাইভার মাধ্যমে এবছর এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন করেছেন।

দফা_৩:পরীক্ষা_পদ্ধতি_সংস্কার_করে_লিখিত_পরীক্ষা_সম্পূর্ণ_বাতিল_করতে_হবে।
কারণ বিচারপতিদের দ্বারা লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করায় বিচারিক কাজের পাশাপাশি খাতা দেখতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। উত্তরপত্রে OMR পদ্ধতি না থাকায় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এবং রিভিউ সুযোগ না থাকায় অনেকে ভাল পরীক্ষা দিয়েও আশানুরূপ ফলাফল পান না। লিখিত পরীক্ষায় মাধ্যমে যে মেধা মূল্যায়ন করা হয় তা একজন শিক্ষানবিশ তার একাডেমিক পরীক্ষায় মূল্যায়িত হয়েছেন। তাই লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে শুধুমাত্র এমসিকিউ ও ভাইভা নিয়ে নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে। এমসিকিউ পরীক্ষা কয়েক ঘন্টায় ও ভাইভা পরীক্ষা কয়েক দিনেই সম্পন্ন করা সম্ভব। এতে এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে সময় ক্ষেপন হবে না।

দফা_৪: ২০১৭ সালে  আপিল_বিভাগের_রায়ের_আলোকে_প্রতি_বছর_ক্যালেন্ডার_অনুযায়ী_এনরোলমেন্ট পরীক্ষার এমসিকিউ ও ভাইভা পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ বিধিতে উল্লেখ করতে হবে।

রেফারেন্স : বার কাউন্সিল ও জেলা বার সমিতির নির্বাচনসমূহ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার কথা বিধিতে উল্লেখ আছে এবং তা যথাসময়ে নেওয়া সম্ভব হলে এনরোলমেন্ট পরীক্ষা বিধিতে উল্লেখ করা ও বাস্তবায়ন করাও সম্ভব।

দফা_৫: শিক্ষানবিশ_আইনজীবীদের_বিভিন্ন_জেলা_বারে বাধাহীনভাবে ও সম্মানের সাথে শিক্ষানবিশকাল সময় যাতে অতিবাহিত করতে পারে সে নিশ্চয়তা প্রদান ও দৈনিক সম্মানী বা ভাতা নূন্যতম ৩০০ টাকা নির্ধারণ করার জন্য বার কাউন্সিল কর্তৃক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালের আইন বিভাগের অধ্যায়নত একজন আইনের ছাত্র আইন পাসের পর যাতে সহজে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পন্ন করতে পারে ও পাস করার পর যেন কোন হয়রানির স্বীকার না হয় সে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। এছাড়া পুরো এনরোলমেন্ট প্রসেস আধুনিকায়ন, কম্পিউটারাইজড ও অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
সুষ্ঠু ও সুন্দর দেশ গঠনের জন্য দেশে প্রত্যেকটি পর্যায় সুশৃঙ্খল ও নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে পথা চালাই প্রত্যেকটি দেশের সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে বোধ করি!  আমারা স্বাধীন দেশের নাগরিক, তবে কেন প্রতি পদে পদে আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খল পরানো হয়! 
দেশে অশিক্ষিত চোর- বাটপাররা দেশ টাকে লুটপাট করে খাচ্ছে সেই দিকে কোন ভাবনার মানুষ নাই। যেখানে মানুষ শিক্ষিত হয়ে কর্ম করে খাওয়ার লড়াই করছে সেখানেই যত সমস্যা!  তবে কি আমরা স্বাধীন না পরাধীন! জাতির কাছে প্রশ্ন রইলো!  


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর